করোনা সংকটে হাসপাতালগুলোর পরিবেশ তৈরি করে রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আসন্ন ঈদে জনসমাগম যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ যাত্রায় সবাইকে নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। পশুরহাট-লঞ্চ-বাস-ট্রেন স্টেশন-ফেরিঘাট-শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে সততার প্রতিক শেখ হাসিনার অর্জন গুটিকয়েক ব্যক্তির লোভে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হতে পারে না। বিএনপির আমলেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিলো। ছিলো দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য। তারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তাদের মুখে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানকে নাটক বলে পরিহাস করা মানায় না। শুদ্ধি অভিযানের শুরু থেকেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্বপালনের ব্রত পালন করছে। তারা দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে না। বরং অন্ধ সমালোচনা করছে।
কাদের বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে আক্রান্তদের পাশে থেকে যারা দিনরাত সেবা দিয়ে মারা গেছেন, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। যারা সম্মুখসারিতে কাজ করছেন, জাতির পক্ষ থেকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশ ও জাতি আপনাদের এই ত্যাগ চিরদিন স্মরণ করবে। আপনারা অন্যদের বেঁচে থাকার প্রেরণা।
বন্যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তাই অসহায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।