অ্যাস্ট্রজেনেকা অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরির পর এই টিকার ডোজে এক স্বেচ্ছাসেবকের শিরদাঁড়ায় মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়। নিউরোলজিক্যাল রোগের উপসর্গও দেখা দিয়েছিল। এই প্রথমবার মুখ খুলল ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই নারী। টাইমস অব ইন্ডিয়া
ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে শিরদাঁড়ার দু’পাশে যন্ত্রণা হয় রোগীর। স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ুতে তীব্র প্রদাহে স্নায়ু আর বার্তা আদানপ্রদান করতে পারে না। মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠাতেও পারে না। ফলে স্পর্শের অনুভূতি চলে যাওয়া, প্যারালাইসিস, পেশীর ব্যথা, পেশীর খিঁচুনি, ব্লাডার এবং বাওয়েল সিনড্রোমও দেখা দেয় রোগীর। সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অ্যাস্ট্রজেনেকার মুখপাত্র ম্যাথিউ কেন্ট বলেছেন, যে নারীর রোগ ধরা পড়েছিল তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কী কারণে ওই নারীর শরীরে এমন রোগ দেখা দিয়েছিল তার পরীক্ষা চলছে। তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে একজনেরই কেন এমন রোগ দেখা দিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি অ্যাস্ট্রজেনেকা।
অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে অযথা উত্তেজনা ছড়াতে নিষেধ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি বলেছেন, টিকার গবেষণা ও প্রয়োগে নানা উত্থান পতন থাকে। খুব সহজেই কোনও দুরারোগ্য রোগের টিকা চলে এসেছে এমন নজির নেই। সৌম্যার বক্তব্য, শুরুতেই ত্রুটিগুলো নজরে চলে আসাই বরং ভাল। তাহলে কী কী গলদ হচ্ছে তার মেরামতি করে আগামী দিনে টিকার সুরক্ষা নিয়ে একেবারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।