জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলীর ৭৫টি শূন্য পদে নন-ক্যাডার সহকারী প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দিতে আজ এ বৈঠক। যদিও এই পদোন্নতির জন্য প্রস্তাবিত ৮৩ জনসহ মোট ৯৫ জনের ক্যাডারভুক্তির আদেশ গত বছরের ৯ জুন বাতিল করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বর্তমানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত ৩১ জন এবং পিএসসির মাধ্যমে রাজস্ব খাতে নন-ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৪ জন ও বিসিএস এর মাধ্যমে ১৪ জন সহকারী প্রকৌশলী রয়েছেন। বিসিএস থেকে আসা ১৪ জনকে বাদ দিয়ে ৬৯ জনকে ক্যাডার করতে হলে প্রথমে নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে। তবে নিয়োগবিধি সংশোধন করলে কেবল প্রকল্প থেকে আসা ৩১ জনই ক্যাডার হতে পারবে। কিন্তু রাজস্ব খাতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৪ জনের কেউই কোনভাবে ক্যাডার হতে পারবেন না। কারন সরকার এ জন্য কোন বিধিমালা প্রনয়ণ করেনি।
এর বাইরে ৮৩ জন সহকারী প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যাডার পদে পদোন্নতি নিতে হলে সবাইকেই সিনিয়র স্কেল পদোন্নতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বর্তমানে তাদের কেউই সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। যার ফলে এ ৬৯ জনের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান কোনভাবেই চাকুরী বিধিমালা সম্মত নয়।
অন্যদিকে ক্যাডার পদে নন-ক্যাডার সহকারী প্রকৌশলীদের এ অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন ২৬ জন ক্যাডার সহকারী প্রকৌশলী এবং ফিডার পদ হতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২৪ জন সহকারী প্রকৌশলীসহ অধিদপ্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। তারা সবাই প্রতিবাদ করলেও সংখ্যায় কম হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এদের দাবি আমলে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, বর্তমানে অধিদপ্তরে ৭৫টি পদ খালি আছে। এজন্য এ পদগুলো পূরণ করতে হলে পদোন্নতি দিতে হবে। তাই আমরা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে সবার নামই প্রস্তাব করেছি। এখান থেকে যাচাই-বাছাই করে বা বিধিতে থাকলে মন্ত্রণালয় চাইলে পদোন্নতি দিবে।