স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা আর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় জাল সার্টিফিকেট, মাস্ক, পিপিইসহ আনুষঙ্গিকে দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজতে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মন্ত্রী পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও পিছপা হবে না দুদক। এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।দুদকের একজন মহাপরিচালক জানান, কমিশন নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট এবং সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভিন্ন হাসপাতালের ১০০ জনের তালিকা করা হয়েছে। এদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই তালিকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের আটজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ডিজি, ২০ চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজের পাঁচ অধ্যাপক ও ৭০ জন কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রেখেছে কমিশন।
দুদক সূত্র বলছে, নিয়োগে অনিয়ম, টেন্ডার জালিয়াতি, ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়ম, অংশীদারিত্বমূলক ব্যবসা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন করার মত অপরাধে জড়িত এরা।
এই সিন্ডিকেটের কর্মকর্তারা গোপনে অংশীদার বা পরামর্শদাতা হিসাবে স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন এমন অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমি জানি না তারা কেন [স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়] দুদকের সুপারিশ অনুসরণ করে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তবে এটা স্পষ্ট যে মন্ত্রণালয় দুর্নীতি দমন করতে যথেষ্ট আন্তরিক ছিল না।