কথায় আছে জন্ম হউক যথা আর কর্ম হউক ভালো। রাত দিন যার কর্ম ছিলো মাদক সেবন ও বিক্রি। পুলিশের তাড়ায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকা, আবার কখনো জেলে। তবুও দমিয়ে রাখতে পারেনি কেউ সুমনকে।
এ ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের মৃত ওহাব আলীর ছেলে সুমন (৩০) । মাদক জগতের কালো নাম ইয়াবা সুমন। একাধিক মামলার ভার কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ দিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় অবশেষে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিলের ভালবাসায় ও স্থানীয় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির সার্বিক সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে কৃষি কাজে মনোযোগী হয়েছেন এ যুবক।
আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ উপলক্ষে রায়পুর থানায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে যুবক সুমন। এত উপস্থিত ছিলেন, রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল, তদন্ত শিপন বড়ুয়া, বামনী ইউপি চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মুন্সি, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন মৃধা, মুকুল পাটওয়ারী, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, তার ভাই বেল্লাল হোসেন, তার মা চকিনা বেগম। এ সময় মাদকসেবী সুমনের হাতে থানা পুলিশ ও চেয়ারম্যানের তসবি, জায়নামাজ ও টুপি উপহার দেওয়া হয় এবং আগামীদিনে সঠিকভাবে চলাফেরা করার জন্য তওবা পড়ানো হয়।
এ সময় সুমন বলেন, আমি খারাপ বন্ধুদের সাথে সঙ্গ দিয়ে প্রথমে মাদক সেবন এবং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছি। বিগত জীবনে ভুল করেছি। মাদক আমার পুরো পরিবার ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার বৃদ্ধা মা, বড় ভাই, স্ত্রীর নিষেধ অন্যদিকে রায়পুর থানার ওসি জলিল স্যারের ভালবাসায় আমি আমার জীবনে আলোর সন্ধান পেয়েছি। কর্ম হিসেবে অনেক কিছু ভেবেও কোন কাজ কর্ম না পাওয়ায় বর্তমানে কৃষিকাজ ও গবাদী পুশু লালন পালন করতে চাই। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর কৃষি ও গবাদি পশু লালন পালন করে আমি বাকি জীবন কাটাতে চাই।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, আমি শুধুমাত্র আমার দায়িত্ব পালন করেছি, আমি মনে করি বাংলাদেশ পুলিশ মানুষের কল্যানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষকে আলোর পথ দেখাবো এটাই আমার প্রত্যাশা। তবে, সুমনের মতো যে কোন মাদক সেবনকারী ও মাদককারবারীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে আমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আইন অমান্যকারীদের ধরতে এবং আইনের আওতায় আনতে রায়পুর থানা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।