বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের প্রথম Smart Village প্রবেশ গেইট এর শুভ উদ্বোধন জাতীয় বীমা দিবসে লক্ষ্মীপুর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় এক লাখ, মৃত্যু পৌনে চারশো নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর ইউসিসিএল’র সভাপতি ও বিআরডিবি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৮০ Time View

ফরিদপুরের নাইমা সুলতানা পাখি। বয়স ২২ বছর। উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি। ওজন ২০ কেজি। স্বপ্ন তার নিজের পায়ে দাঁড়াবে। এজন্য অভাব অনটনের সংসারে প্রতিনিয়ত করছেন জীবনযুদ্ধ। ঠিক এসময় তার পাশে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

পাখির ইচ্ছা পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটারের কোর্সটি শেষ করে কম্পিউটার পরিচানায় আরো দক্ষ হবে। কিন্তু নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। একসঙ্গে এতো টাকা দিয়ে কম্পিউটার ক্রয় করা অসম্ভব। ফলে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। ঠিক এমন সময়ে তার পাশে এসে দাঁড়িছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক । মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে পাখি ও তার পরিবারকে ডেকে নেয় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। শোনেন তার ইচ্ছের গল্প। তার উচ্চকাঙ্খা শুনে হতবাক জেলা প্রশাসক । এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাখিকে তার পড়াশোনা এগিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয় একটি আধুনিক মানের ল্যাপটপ, শুধু তাই না তার পড়ালেখার খবর বহন করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ।

নাইমা সুলতানা পাখি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের উলুকান্দা গ্রামের নাদের মাতুব্বর ও সাহিদা বেগম দম্পতির ৩ মেয়ের মধ্যে পাখি সবার বড়। গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন পাখি। বর্তমানে ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অনার্স (বাংলা) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাবা নাদের মাতুব্বর একসময় পাট-ভুষামালের ব্যবসা করতেন। ১২ বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন তিনি। একেবারেই চলাফেরা করতে পারেন না।

উদ্দীপ্ত এই নাইমা সুলতানা পাখি জানান, ‘বাবা অসুস্থ। সংসারে রোজগারের মতো কেউ নেই। পড়াশোনা তো দূরে থাক ঠিকমতো সংসারই তো চলে না। এরপরও কষ্টের মধ্য দিয়ে পড়া চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ছোট হলেও আমার স্বপ্নটা বড়। চাই লেখাপড়া করে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি একটা চাকরি করে পরিবারের হাল ধরতে চাই। বাবা-মা, বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। কারও করুণা কিংবা ভিক্ষা করে নয়, মাথা উঁচু করে বাঁচবো। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজের দৃষ্টান্ত হতে চাই।’

জেলা প্রশাসকের সহায়তার বিষয়ে পাখি বলেন, আমার পাহাড় সমান স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান স্যার। তার এই সহযোগিতা হয়তো আমাকে আমার র্টাগেটে নিয়ে যাবে।

পাখির মা শাহিদা বেগম বলেন, ‘স্বামী অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন ঘরে পড়ে আছে। ৩ মেয়ের পড়াশোনাসহ সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতে খুবই কষ্ট হয়। পাখির স্বপ্ন পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য নেই। জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই, আমার এই অবহেলিত মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছেন।

নাইমা সুলতানা পাখির প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, পাখির স্বপ্ন ও তার পরিবারের অভাব অনাটনের খবর পেয়ে পরে তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে আসি। আমি হতবাক মেয়েটি স্বপ্ন কত বড়। এতো কষ্টের মধ্যেও সে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চায়। এই কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি কিছুটা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং তার পড়ালেখা শেষ হলে যোগ্যতানুযায়ী চাকরি ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015 teamreportbd
কারিগরি সহযোগিতায়: Freelancer Zone
freelancerzone