চিত্রশিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের আঁকা দেড়শ ফুট আকারের (দেশের সর্ববৃহৎ) এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। সেই জন্য ২১ বছর এই জাতির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আর এই ২১ বছর একটা চেষ্টাই করা হয়েছিল যেন জাতির পিতার নাম না থাকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামটাই মুছে ফেলা…। সেটা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস হোক আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হোক, সবকিছু থেকেই তাকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার একটি চেষ্টা হয়েছে। পাকিস্তানিরা যেমন করেছে, পঁচাত্তরের পর যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারাও করেছেন। কিন্তু আমাদের যারা শিল্পী-সাহিত্যিক আছেন, তারা তাদের লেখনির মধ্য দিয়ে, তাদের তুলির আঁচড়ে, কবিতার মাধ্যমে, গানের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে এই নামটি চিরভাস্বর করে রেখেছেন। সেজন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ একটি প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি থেকেই শুরু করে সকলেই কাজ করেছেন। আর আমরা রাজনৈতিকভাবেও চেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের দেশের প্রতিটি অর্জনে, সংগ্রামে কিন্তু আমাদের শিল্পীদের অনেক অবদান রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্ক্রল পেইন্টিংটির শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রদর্শনীর আয়োজক সহযোগী বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘মাত্রা’র পক্ষ থেকে ম্যানেজিং পার্টনার শিল্পী আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি শিল্পী জামাল আহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিম সং এবং স্ক্রল পেইন্টিংয়ের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি পরিবেশিত হয়।