বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বিএ.২ নামের কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি এখন পর্যন্ত ৫৭টি দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে । বিএ.২ কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অমিক্রনের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে দেখছে। কোনো কোনো দেশে এটি মূল ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ অমিক্রনকে ছাড়িয়ে প্রধান সংক্রামক হিসাবে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অমিক্রনের চেয়ে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট যে বেশি বিপজ্জনক তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।সম্প্রতি ব্রিটেনের দুজন বিশেষজ্ঞ বিএ.২ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছেন :অধ্যাপক জন এডমন্ডস – লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এই অধ্যাপক বলছেন আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ব্রিটেনে প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে।তিনি বলেন, বিএ.২ চলতি সংক্রমণের মেয়াদকাল বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ তৈরি করতে পারে।তবে ভরসার কথা এই যে – তিনি বলেন- বিএ.২ মূল অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে অধিকতর বিপজ্জনক তার কোনো প্রমাণ নেই, এবং ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে চলতি ভ্যাকসিনগুলো এর বিরুদ্ধে কাজ করবে।
অধ্যাপক জনাথান বল – ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের মলিউকিউলার ভাইরোলজির এই অধ্যাপক বলেন অমিক্রনের মূল ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন যতটা কার্যকরী দেখা গেছে বিএ.২-এর ক্ষেত্রে তা একইরকম কাজ করবে। তবে তিনি বলেন, বিএ.২ কতটা বিপজ্জনক তা বুঝতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।”অবশ্যই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের আচরণ-প্রকৃতি ভালোভাবে বুঝতে হলে কড়া নজর রাখা জরুরী, তবে এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে তাতে অনর্থক উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।”তবে ডেনমার্কে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মূল অমিক্রনের চেয়ে বিএ.২ অধিকতর সংক্রামক, এবং এটি ভ্যাকসিন নেওয়া লোকদেরকে অমিক্রনের চেয়ে আরো সহজে সংক্রমিত করছে।
তবে ডব্লিউ এইচ ওর বিশেষজ্ঞ ড বরিস পাভলিন বলছেন, অমিক্রনের চেয়ে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির ক্ষতি করার ক্ষমতা যে বেশি ডেনমার্কের সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য থেকে তা মনে হচ্ছে না।”যেসব দেশে অমিক্রনকে টপকে বিএ.২তে সংক্রমিত রোগী বাড়ছে সেসব জায়গায় হাসপাতালে কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ার লক্ষণ নেই,” বলেন ড, পাভলিন।