ঢাকার রামপুরা বাজারের কাছ সড়ক পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় এক শিক্ষার্থী নিহত হবার পর বিক্ষুব্ধ মানুষজন অন্তত বারটি বাসে আগুন দিয়েছে।সোমবার রাত দশটার পরের ওই ঘটনায় জের ধরে সংঘটিত সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেছেন যে সোমবারই ছিলো নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলামের জন্মদিন এবং তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।তার বাবা রামপুরায় তাদের মহল্লায় চায়ের দোকান পরিচালনা করেন এবং দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন সবার ছোট।এর আগে সম্প্রতি ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটরডেম কলেজের একজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ছাত্ররা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিলো।তারপরেই ঢাকার একটি পত্রিকার একজন কর্মী সিটি কর্পোরেশনের আরেকটি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হবার ঘটনা ঘটে।
আবার সোমবার দুপুরেই রামপুরায় সহপাঠীকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নামানোর অভিযোগে অন্তত চল্লিশটি বাস আটক করেছিলো স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সহায়তায় মালিকদের সাথে আলোচনার পর বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছিলো তারা।এসব ঘটনার রেশ পার হতে না হতেই বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলামের নিহত হবার ঘটনা ঘটলো।পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, ওই শিক্ষার্থী রামপুরায় তিতাস রোডে নিজের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ডিআইটি রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন রাত দশটার দিকে।এ সময় একটি বাস সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠাচ্ছিলো। অন্যদিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে সায়েদাবাদগামী ‘অনাবিল’ নামে একটি বাস দ্রুত গতিতে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় মাইনুদ্দিনকে ধাক্কা দেয় বলে রামপুরা থানা পুলিশ জানিয়েছে।পরে লোকজন ধাওয়া দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে গিয়ে বাসটিতে ধরতে সক্ষম হয় ও চালককে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
রামপুরা থানা জানিয়েছে এ পর্যন্ত দু জনকে আটক করা হয়েছে এবং রাতেই পরিস্থিতি তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন।তবে তার আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা অনেকগুলো বাসে আগুন দেয় ও ভাংচুর করে।ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে যে মোট বারটি বাসের আগুন তাদের নেভাতে হয়েছে।ওদিকে ঘটনাস্থল থেকে মাইনুদ্দিনের মৃতদেহ স্বজনরা তার তিতাস রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।