বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের প্রথম Smart Village প্রবেশ গেইট এর শুভ উদ্বোধন জাতীয় বীমা দিবসে লক্ষ্মীপুর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় এক লাখ, মৃত্যু পৌনে চারশো নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর ইউসিসিএল’র সভাপতি ও বিআরডিবি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

যেসব খাবারে কিডনির ভয়ংকর ক্ষতি হয়

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৯১ Time View

প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যায় কিডনির নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে। মানবদেহের ফুসফুস কিংবা হৃদপিণ্ডের মতোই কিডনির গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু আমরা নিজের অজান্তেই আমাদের কিডনির ক্ষতি করে ফেলছি। আমাদের খাদ্যাভ্যাসে একটু ভারসাম্য আনলেই সুরক্ষা থাকবে কিডনি।

পানি পান করা: বিভিন্ন কারণে কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকে। এর মধ্যে সাধারণ কারণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা। শরীর থেকে পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে কিডনির মূল কাজ এবং সেই সঙ্গে রক্তকণিকার ভারসাম্যও বজায় রাখে কিডনি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তৃষ্ণা না পেলে পানি পান করেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করার ফলে বৃক্কের রক্তপ্রবাহ হ্রাস পায় এবং এতে করে দূষিত রাসায়নিক জমা হতে থাকে রক্তে।

মাংস : স্বাদের খাতিরে আমরা অতিরিক্ত মাংস খেয়ে থাকি। এটা একদমই ঠিক নয়। সাধারণত অন্যান্য খাবারের থেকে মাংস হজম হতে সময় বেশি নেয়। এতে করে কিডনির জন্য বোঝা হয়ে ওঠে। অনেক সময় পাথরও জমতে থাকে। আর এসব ইউরিক অ্যাসিডের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।লাল মাংস অতিরিক্ত খাওয়া একদমই উচিত নয়। সেই সঙ্গে চিপস, ফাস্টফুড, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং লবণ দিয়ে ভাজা খাবারও অনেক ক্ষতিকর। খাবারে অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনিতে চাপ পড়ে এবং এর দুর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কিডনি সুরক্ষা রাখার জন্য খাদ্য তালিকায় প্রাণিজ প্রোটিন না রেখে মাছ বা ডাল জাতীয় প্রোটিন খাবার রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ব্যথানাশক: সাধারণত একটু মাথাব্যথা, গলা-ব্যথা থেকে শুরু করে শারীরিক কোনো অঙ্গে ব্যথা অনুভব হলেই ব্যথানাশক খাওয়ার অভ্যাস আমাদের। অধিকাংশ ব্যথানাশকেরই কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এসব জানার পরও আমরা সেইসব ব্যথানাশক সেবন করে থাকি। এসব ব্যথানাশক কিডনিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যথানাশকের ওপর দীর্ঘ নির্ভরশীলতা রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

লবণ: প্রতিদিন খাবারে লবণের প্রয়োজন অনেক বেশি। কিন্তু এই প্রয়োজনীয় খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া হলে কিডনিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। লবণে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম ভয়ানক ক্ষতি করে থাকে কিডনির। এক্ষেত্রে খাবারে লবণের পরিমাণ কম-বেশি করে নেওয়া যেতে পারে। তবে প্যাকেটজাত খাবারে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থেকে যায়। এ কারণে জাঙ্ক ফুড এড়ানো উচিত। মানবদেহে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে এখনই সাবধান হোন। শরীরে ১৪০/৯০ এর উপরে রক্তচাপ থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং কিডনি সুস্থ রাখতে সবসময় রক্তচাপ ১৩০/৮০ বা এর কম রাখার চেষ্টা করুন।

কলা : কলা আমাদের দেহের ক্যালসিয়াম ও এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে। আগে থেকে যাদের কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের একদমই কলা খাওয়া ঠিক নয়। কলায় থাকা অতিরিক্ত পটাশিয়াম আমাদের কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। এর ফলে সোডিয়াম যদিও কম থাকে তবে মাঝারি ধরনের একটি কলায় ৪২২ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। যাদের আগে থেকে কিডনির সমস্যা তারা কলা এড়িয়ে চলুন।

এনার্জি ড্রিংকস : কোমল পানীয় বা অন্যান্য এনার্জি ড্রিংকস খাওয়া এখন রীতি হয়ে গেছে প্রায়। যে কোনো অনুষ্ঠানে কোমল পানীয় না থাকলে কি হয়? আবার অনেকে তৃষ্ণা পেলে পানির পরিবর্তেও এনার্জি ড্রিংকস বা কোমল পানীয় খেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব পানীয় কিডনির ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। প্রতিদিন একজন মানুষের অন্তত ৮ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঘামের ক্ষেত্রে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হয় না। ধূমপান ও মদ্যপানের জন্যও কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। ধূমপান ও মদ্যপানে কিডনির রক্ত চলাচল ধীরগতিতে হয় এবং এতে কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।

কমলালেবু: এমন অনেক মানুষই আছেন যারা খোসা ছাড়িয়ে কমলালেবু খেয়ে থাকেন। অতিরিক্ত ভিটামিন-সি’র চাহিদায় বা লোভে পড়ে অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। কেননা, লেবুতেও প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। আর এ পটাশিয়াম কিডনিতে গিয়েই জমা পড়ে। শরীরে প্রতিদিন মাত্র ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি হলেই যথেষ্ট। নিয়মিত প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ভিটামিন-সি কিডনিতে পাথর সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পরিমাণ মতো ভিটামিন-সি খাওয়া উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015 teamreportbd
কারিগরি সহযোগিতায়: Freelancer Zone
freelancerzone