মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের প্রথম Smart Village প্রবেশ গেইট এর শুভ উদ্বোধন জাতীয় বীমা দিবসে লক্ষ্মীপুর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় এক লাখ, মৃত্যু পৌনে চারশো নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর ইউসিসিএল’র সভাপতি ও বিআরডিবি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রেকর্ড জয়ে সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৮২ Time View

ওমানে বাছাই পর্ব খেলে বাংলাদেশ যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার এই সত্যি স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এক হারে হঠাৎ করেই ফিঁকে হতে শুরু করে। দুবাই যাওয়ার ভিসা, টিকিট মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে থাকলেও ছিল না ছাড়পত্র। শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপে সুপার-১২এ খেলা। তবে এই পথ পাড়ি দিতে টাইগারদের নামতে হয়েছিল বাঁচা-মরার যুদ্ধে। এমন ম্যাচে ব্যাটে বলে নৈপুণ্যে  দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আসরের দ্রুততম ফিফটি করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ৩ রানের জয় পেলেই হতো স্বপ্নপূরণ সেখানে টাইগাররা পেয়েছে রেকর্ড গড়া জয়।

৮৪ রানের জয়ে বিশ্বকাপ তো বটেই রানের দিক থেকে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়ে জায়গা করে নিলো সুপার টুয়েলভে। স্কটল্যান্ড ও ওমান ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে গ্রুপে তাদের অবস্থান। গতকাল আল আমিরাত স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ১৮১ রান তাড়ায় ৯৭ রানে গুটিয়ে গেছে আইসিসি’র সহযোগী দেশটি। টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের আগের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ৭১ রানে। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর বিশ্বকাপে তাদের সবচেয়ে বড় দরকার ছিল ৫৪ রানের, ২০১৬ আসরে ওমানের বিপক্ষে।

প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং- বোলিং কোনোটিই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিং-বোলিং ছন্নছাড়া হলেও জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় মাহমুদুল্লাহর দল। দল বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের আয়োজক ওমানকে হারিয়ে এগিয়ে যায় এক ধাপ। গতকাল শেষ ম্যাচে জয়ের মাঝে দেখা মিলেছে পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স। ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফরম্যান্সে পাপুয়া নিউগিনিকে গুঁড়িয়ে বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিলো ব্যবধান। আগের দুই ম্যাচের মতো সমর্থনে ঠাসা গ্যালারি ছিল না, তবে মাঠের ক্রিকেট হলো মন ভরানো। শঙ্কার কালো মেঘ উড়িয়ে সুপার টুয়েলভের আলোয় পা রাখলো বাংলাদেশ। ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে গতকাল টস জয়ী টাইগাররা ২০ ওভারে তোলে ১৮১ রান। বিশ্বকাপে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া লক্ষ্য তাড়া করে চমক দেখাতে পারেনি পাপুয়া নিউগিনি। বরং দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে তাদের ব্যাটিং ধসিয়ে দেয় টাইগাররা। সাইফউদ্দিন অব্যাহত রাখেন তার বোলিং পারফরম্যান্স। আগের দুই ম্যাচের হতাশা ভুলিয়ে তাসকিন আহমেদ করেন দারুণ বোলিং। সাকিবের বোলিংয়ের তো কোনো জবাবই ছিল না পিএনজির কাছে। উইকেটের পেছনে চোখধাঁধানো এক ক্যাচ নেন নুরুল হাসান সোহান, সীমানায় নেন নাঈম। ২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় পিএনজি। তবে পরে কিপলিন ডোরিগার ৩৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস আর বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি মিলিয়ে তারা যেতে পারে একশ’র কাছাকাছি। বাংলাদেশের রেকর্ড জয় তবু থামাতে পারেনি তারা। মূল লড়াইয়ের আগে যে জয় হতে পারে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নাকি রানার্সআপ হয়ে মূল লড়াইয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, সেটি জানতে অপেক্ষায় থাকতে হবে দিনের পরের ম্যাচ পর্যন্ত।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল প্রত্যাশিত দ্রুততায় রান করতে গিয়ে খেসারত দিচ্ছিল। ক্যারিয়ারের দ্রুততম ফিফটিতে তখন ইনিংসের গতিপথ বদলে দেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। শেষদিকে কার্যকর ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। সঙ্গে সাকিব আল হাসান তো আছেনই। বাংলাদেশের জয়ে তার অবদান না থেকে কি আর পারে! প্রথম ওভারে উইকেটে গিয়ে ৪৬ রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে তার শিকার ৪ উইকেট। আগের ম্যাচের মতো তিনিই ম্যাচসেরা। দুর্দান্ত এই জয়ে বড় স্বস্তি নিঃসন্দেহে ব্যাটিংয়ে বড় রান পাওয়া। ইনিংসের দুই ভাগের চেহারা যদিও ছিল দুইরকম। প্রথম ১০ ওভারে রান আসে ৭১, পরের ১০ ওভারে ১১০। গতকাল পাওয়ার প্লে খুব খারাপ কাটেনি।

আগের ম্যাচে ফিফটি করা মোহাম্মদ নাঈম শেখ যদিও ফেরেন এবার প্রথম ওভারেই। ম্যাচের প্রথম বলে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়ে পরের বলেই লেগ স্টাম্পে হাফভলি বলে ক্যাচ তুলে দেন স্কয়ার লেগের হাতে। প্রথম দুই ওভারে কেবল ৬ রান এলেও পরের দুই ওভারে ছক্কা মারেন লিটন দাস ও সাকিব। পাওয়ার প্লেতে রান আসে ৪৫। সবশেষ ১৩ টি- টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এটি। লিটনকে দেখে মনে হচ্ছিল, বড় ইনিংস অবশেষে পেতে যাচ্ছেন তিনি। শুরু থেকেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন, শট নির্বাচনেও ছিলেন সতর্ক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। থিতু হয়েও ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন। এই নিয়ে টানা ১১ ইনিংসে ফিফটি নেই লিটনের। এই সময়ে দু’অঙ্কই ছুঁতে পারেননি ৭ বার।

এর মধ্যেই মুশফিকুর রহীম ফিরে যান বাঁহাতি স্পিনার সাইমন আটাইয়ের আলগা এক বলে। আরেকটু দীর্ঘায়িত হলো তার দুঃসময়। এই সংস্করণে ফিফটি নেই তার ২৭ ইনিংস ধরে। মাহমুদুল্লাহ নামতেই অবশ্য বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। উইকেটে যাওয়ার পরপরই দুর্দান্ত এক ছক্কায় তিনি বার্তা দিয়ে দেন, ঝড় আসছে। সাকিবের রান এক পর্যায়ে ছিল ২৩ বলে ২২। এই গরমে খুব বেশি না দৌড়ে বড় শটে রান বাড়ানোর পথ বেছে নেন তিনি। দুটি ছক্কা মারেন তিনি আসাদ ভালাকে। আউট হয়ে যান অবশ্য ভালার বলেই। ওয়াইড বলে ছক্কার চেষ্টায় লং অনে ধরা পড়েন চার্লস আমিনির অসাধারণ ক্যাচে। ৩৭ বলে তার ৪৬ রানের ইনিংসে ছক্কা ৩টি, চার নেই। সেখান থেকে ইনিংসের লাগাম ধরেন মাহমুদুল্লাহ। পেশিশক্তি আর স্মার্ট শটের মিশেলে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিফটি স্পর্শ করেন ২৭ বলে। ছয়ে নেমে চারটি চারে আফিফ করেন ১৪ বলে ২১। শেষটায় তবু ১৭০ ছুঁতে পারছিল না দল। তিন বলেই সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দেন সাইফ। টানা দুটি ছক্কা ও এক চারে দলের রান নিয়ে যান রেকর্ড উচ্চতায়। শেষ ৫ ওভারে আসে ৬৮ রান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015 teamreportbd
কারিগরি সহযোগিতায়: Freelancer Zone
freelancerzone