কমছে না ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, কিউলেক্্র মশা দমনের পাশাপাশি এডিস মশা দমন করতে হবে। এডিস মশার প্রজননস্থলে ওষুধ দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। আর থেমে থেমে বৃষ্টির কারনে অক্টোবর মাস জুড়ে এডিস মশার উপদ্রব থাকার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়াও এখনও তাপমাত্রা কমছে না। মাঝেমধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বাড়ছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না। শিশু হাসপাতালে ৪১ জন শিশু ভর্তি আছে। তার মধ্যে ৩ জন শিশু আইসিইউতে আছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১১ জন শিশু। এ পর্যন্ত শিশু হাসপাতালে মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৭শ’র বেশি শিশু। সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালের বহিঃবিভাগেও অনেক রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের চিকিৎসা গাইডলাইন দেয়া হয়। তারা বাসা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া জানান, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৬৪ জন ও ঢাকার বাহিরে ৪৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০ হাজার ১২৯ জন। এরমধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৭৬ জন। এখনও ভর্তি আছে ৯৬৭ জন।
বিশিষ্ট কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান জানান, বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারনে এডিস মশার উপদ্রব কমছে না। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ মশার উপদ্রব থাকার সম্ভবনা আছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এখন কিউলেক্্র মশা দমন করছেন। এর পাশাপাশি এডিস মশা দমনেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার। এডিস মশার প্রজননস্থল নিমূল ও পূণাঙ্গ মশা দমন করতে হবে। এটা অব্যাহত রাখার উপর জোর দিতে হবে বলে তিনি মস্তব্য করেন। না হয় বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে এতে এডিস মশার উপদ্রব সহজে কমবে না।