বাংলাদেশে ১১ই আগস্ট থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, ব্যাংক থেকে শুরু করে গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার বিকেলে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, ১০ তারিখ পর্যন্ত যে লকডাউন রয়েছে তা পরেরদিন ১১ ই আগস্ট থেকে শিথিল করা হবে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওই দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি, বেসরকারি সব ধরনের অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকবে।
শপিংমল, বাজার ও অন্যান্য দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সকল গনপরিবহন চলবে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে।তবে সড়কপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে মোট পরিবহনের অর্ধেক চালু করা হবে।অর্ধেক আসন খালি রেখে রাত ১০টা পর্যন্ত হোটেল রেস্তোরাগুলো খাবার পরিবেশন করতে পারবে। সকল প্রকার শিল্প কারখানা চালু থাকবে।
কিন্তু সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। তবে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলা নেই।বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে দুই দফায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন দেয়া হয়।কুরবানির ঈদ উদযাপনের জন্য ২৩শে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়। এর আটদিন বিরতির পর আবারও ১৪ দিনের লকডাউন দেয়া হয় এবং তা আরও পাঁচ দিন, ১০ই আগস্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।কিন্তু জুলাই মাস থেকে ঘোষণা দেয়া এই লকডাউন কয়েকদিনের মধ্যে ঢিলে হতে থাকে।ঈদের পর এবং পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার পর রাস্তাঘাটে ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কোন উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও সরকার লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল।বাংলাদেশে এখনো কোভিডে প্রতিদিন দুশোর বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে, নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।