সোমবার (২৬ জুলাই) ডিবিসি টিভিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
সোমবার কেবিনেট বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, টিকার কার্যক্রম আরো জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন ওয়ার্ড পর্যায়ে জোর দেয়া হবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তাবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের ভ্যাকসিনেট করার ব্যবস্থা করা, ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে একটা অনীহা আছে। হাসপাতালে দেখা গেছে, গ্রামের বয়স্ক লোকরাই আছেন ৭৫ শতাংশ। তাদের মৃত্যু সংখ্যা বেশি, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ। তাদের ভ্যাকসিনেট করার জন্য আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমরা কার্যক্রমও হাতে নিয়েছি। সমকাল
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২১ কোটি ভ্যাকসিন ১৪ কোটি মানুষকে দেয়া যাবে, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ মানুষ। আমরা চাই সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে। ২১ কোটি ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১ কোটি করে ধরলে ২১ মাস সময় লাগার কথা। তবে আমরা চাই আরো কম সময়ে দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে ডাক্তার-নার্স, আর্মি, পুলিশ, সাংবাদিক রয়েছেন। তারা সাবাই টিকা পেয়েছেন। বাকিদের দিতে বলা হয়েছে। তাদের পরিবারকে টিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে যদি কোনো ড্রাইভার থাকে তাকেও দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়স তারা এই ভ্যাকসিনটা পাবে। তিনি বলেন, ৪৩টি অক্সিজেন জেনারেটর অর্ডার দেয়া হয়েছে। আগস্ট মাসের কোনো এক সময়ে এগুলো দেশে আসবে। নিউজ বাংলা
তিনি আরও বলেন, প্রথম দফায় আসা ১ কোটি ৩ লাখ ডোজের মজুত শেষ হওয়ার পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া আপাতত বন্ধ আছে। প্রথম ডোজ পাওয়া ১৫ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। গত পরশু আসা ২ লাখ ৪৫ হাজার টিকা শুধু ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক লাখ ফাইজারের টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবাসী শ্রমিকদের দেয়া হচ্ছে। মডার্নার টিকা দেয়া হচ্ছে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ মানুষকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। এই টিকার মজুত আছে ৫০ লাখের বেশি।