(বাকী অংশ)
৭) নামাজ মনযোগ বৃদ্ধি করেঃ- নামাজে যখন দাঁড়ানো হয় তখন জায়নামাজের সামনের দিকের একটি নির্দিষ্ট স্থানে চোখ স্থির থাকে এর ফলে মনোযোগ ও একাগ্যতা বৃদ্ধি পায়
৮) নামাজ আদায়ে প্রয়োজনীয় শারীরিক ব্যায়াম এর কাজ হয়ে যায়ঃ- নামাজের মাধ্যমে শরীরের ব্যায়াম এর কাজ সাধিত হয়। এই সময়ে দেহের সব অঙ্গ প্রতঙ্গ বিভিন্ন ভাবে বার বার নড়াচড়া করে। যা একটি উত্তম ব্যায়াম হিসেবে স্বীকৃত।
৯) নামাজ রিলাক্স এর সুযোগ এনে দেয়ঃ- নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারণ পরিবর্তন আসে। পারিবারিক যে কোন ঝুটঝামেলা থেকে এই সময়ের জন্য আমাদেরকে রিলাক্স দেয়। মনে পরিবর্তন ঘটায়।
১০) নামাজ আদায়ে শারীরিক বিকাঙ্গতা লোপ পায়ঃ- নামাজ নিয়মিতভাবে আদায়কারী সকল মানুষের দেহের অবকাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকালঙ্গতা লোপ পায়।
১১) নামাজ রোগজীবানু মুক্ত জীবন গড়তে সহায়তা করেঃ- নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে। ওজুর সময় দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয়, যার ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু হতে আমরা সুরক্ষিত এবং রোগ জীবানু মুক্ত থাকি।
১২) নামাজ মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও মুখের দাগ দূর করেঃ- নামাজের জন্য ওজুর সময় মুখমণ্ডল ৩ বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
১৩) নামাজ কপালের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করেঃ- ওজুর সময় আমরা যেভাবে মুখমণ্ডল পরিস্কার করি, তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয়, যার ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
১৪) নামাজ দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ- কেবলমাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়মমাফিক যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়। যার কারণে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টিশক্তি বয়স বাড়লেও অটুট থাকে।
১৫) নামাজ জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করেঃ- এক গভেষনায় দেখা গেছে,নিয়মিত নামাজ আদায় করলে মানুষ অনেক খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত থাকে যার ফলে মানুষের জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও নামাজ আদায়ের ফলে আরো অনেক কল্যাণ ও ফজিলত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এক কথায় বলতে গেলে- নামাজ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের এক ও অনন্য হাতিয়ার।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতা ও কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন।
(প্রবন্ধ লেখকঃ- ডাঃ আব্দুর রহমান, কমলনগর, লক্ষীপুর ০১৬১৬-৩৭০৩০৩)