লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট আন্তঃবিভাগীয় ফেরিঘাটের ইজাড়াদারকে জেলা পরিষদ কর্তৃক দখল হস্তান্তর করা হয়। চলতি অর্থ বছরের জন্য এ ঘাটের সর্বোচ্ছ দরদাতা হিসেবে ইজাড়াদার হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন পাঠান।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী হাটে আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইজাড়াদার ইসমাইল হোসেন পাঠানকে ফেরিঘাটের দখল হস্তান্তর করা হয়। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান দখল হস্তান্তর করেন।
বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামস্থ স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও আন্ত:জেলা ও সদস্য সচিব আন্ত:বিভাগীয় ফেরিঘাট ইজাড়া কমিটি’র স্বাক্ষরিত (১৫.০৬.২০২১ খ্রি:) চিঠির আলেকে জানাযায়, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মজুচৌধুরীর হাট হতে ইলিশা জংশন আন্ত:বিভাগীয় ফেরিঘাটটি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এতে লক্ষ্মীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন পাঠানের দাখিলকৃত ৭৫লক্ষ টাকা সর্বোচ্ছ দরদাতা গৃহিত হলে ৭জুন-২১ ইং তারিখের ইজাড়া কমিটির সুপারিশের আলেকে বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদন স্বাপেক্ষে ইসমাইল হোসেন পাঠানের অনুকুলে ইজাড়া প্রদান করা হয়।
১লা জুলাই-২০২১ হতে ৩০জুন-২০২২ পর্যন্ত এক বছরের জন্য তাকে ফেরিঘাট ইজাড়া প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দরপত্রের নিয়ম ও শর্তানুযায়ী তার সহিত চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬জুন-২১ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মজুচৌধুরীর হাট হতে ইলিশা জংশন আন্ত:বিভাগীয় ফেরিঘাটটি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়।
ইসমাইল হোসেন পাঠান লক্ষ্মীপুরের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। তিনি মেসার্স মা ট্রেডার্সের স্বাত্বাধিকারী । লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি।