ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, হেফাজতের গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন এবং তারা ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছে, কোথায় কখন কার বাসায় বৈঠক হয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে। ভারতের ইকনোমিক টাইমস ও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে, ২৬-২৮ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ব্যানারে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, সেখানে বিএনপি-জামায়াত সক্রিয় অংশ নিয়েছে। অর্থ যোগান দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সাহায্য করেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে বৃহৎ পরিকল্পনায় সরকার পতনের উদ্দেশ্যে ২৬-২৮ মার্চ যেভাবে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি-সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ানো, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে। ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি ধ্বংস করা এমনকি ভিন্নধর্মের উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।
[৪] শনিবার রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবন থেকে অনলাইনে মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় নিজের পক্ষ থেকে ২ হাজার স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে অনলাইনে রাঙ্গুনিয়ায় দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনে বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী করোনাকালে দিনমজুর, মাঝি, রিক্সা-ভ্যানচালকসহ খেটে-খাওয়া নিম্নবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তার এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশানুসারে কৃষকদের ধানকাটায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন থেকে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা, হোছনাবাদ, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা ও পৌরসভা এলাকার দুই হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়ার এ আয়োজনে রাঙ্গুনিয়া প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, এনএনকে ফাউন্ডেশনের আবদুর রউফ মাস্টার, জসিম উদ্দিন তালুকদার, এমরুল করিম রাশেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু প্রমুখ।