লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ও তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
ফলে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় এসব রোগীকে ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৩৯৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভর্তি হন ৩৮জন ডায়রিয়া রোগী।
এ হলো সরকারি হিসাব। বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী এর সংখ্যা আরও বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার চরমার্টিন,চরকালকিনি, চরবসু ও সাহেবের হাট ইউনিয়নের চর জগবন্ধু এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে দেখা যায়,শয্যা সংকুলন না হওয়ায় রোগীরা ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
একসঙ্গে এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা।
তবে রোগীর চাপ বেড়ে গেলেও ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা।
এছাড়া জনবল ও শয্যা সংকটের মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মীর আমিনুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি জানান,গরম বেড়ে যাওয়ায় ও ফুড পয়জোনিংয়ের কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী বলেন,ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ-স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। রোগীর তুলনায় অবকাঠামো ও জনবল সংকটে কিছুটা হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে ডায়রিয়া এড়াতে বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিলেন এই কর্মকর্তা।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান জানান,একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মহামারী এরমধ্যে এখন আবার ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন প্রয়োজনে জেলা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সার্বক্ষণিক হাসপাতালে রাখার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।