বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের প্রথম Smart Village প্রবেশ গেইট এর শুভ উদ্বোধন জাতীয় বীমা দিবসে লক্ষ্মীপুর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় এক লাখ, মৃত্যু পৌনে চারশো নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর ইউসিসিএল’র সভাপতি ও বিআরডিবি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিউমার্কেটে আড়াই হাতের অস্থায়ী দোকানের সালামি তিন লাখের বেশি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩২৫ Time View

সরেজমিন জানা গেছে, ব্যবসা চালাতে সারাবছর চাঁদা দিতে বাধ্য এই ফুট-ব্যবসায়ীরা। দোকানভেদে দৈনিক ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা।

ব্যাগ বিক্রেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, এখানে টাকা ছাড়া কারও জায়গা হয় না। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার আগে সিগনাল পাই, দোকানপাট তুলে নেই। তারা চলে গেলে আবার দোকান বসানো হয়। অনেকেই দেশের বাড়ি থেকে ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা এনে দোকান নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, শুধু নিউমার্কেটের ভেতরে নয়, বাইরেও চাঁদাবাজি হয়। জুতাপট্টি, গাড়ি পার্কিং, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্রাম্যমান বিক্রেতা, দুইটা ওভার ব্রীজ- প্রতিটি লাইনের জন্য নির্দিষ্ট লোক রয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদা নেয়। কেউ চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে, তাকে ব্যবসা করতে দেয়া হয় না। ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।

তিনি বলেন, টাকা নেয় সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, স্থানীয় ছাত্রনেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কেউ সরাসরি সামনে আসে না, চাঁদা তোলার দায়িত্বে নিয়োজিতরাই তাদের টাকা পৌঁছে দেয়।

সিএনজি চালক মো. ইয়াসির হোসেন বলেন, নিউমার্কেট হলো ধান্দাবাজির আখড়া, যে যার মতো করে টাকা কামিয়ে নেয়। এখানে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা নেই। নিউ মার্কেটের কোনও জায়গায় ১ মিনিট দাঁড়ালেই ২০ টাকা গুণতে হয়। টাকা না দিলে দাঁড়াতে দেয়া না।

কাপড় বিক্রেতা মো. মামুন হোসেন বলেন, সব কিছু মেনে নিয়েই বাধ্য হয়ে ব্যবসা করছি।

ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের দক্ষিণ বনিক সমিতির সভাপতি মো. সহিদ উল্ল্যাহ (সহিদ) বলেন, নিউ মার্কেটের ভেতর থেকে কোনও দোকান ওঠানো হয় না। তবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে এবং জনসমাগম বেশি হলে তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান।

তিনিবলেন, কোনও হকার টাকা ছাড়া বসে না, সেটি কাদের দেয়া হয়? নিউমার্কেটের দোকানের ভেতর যাদের দোকানের সামনে হকার বসে, তারাই টাকাগুলো নেয়। আবার তারাই বিভিন্ন গুজব রটিয়ে পত্রিকাতে নিউজ করে।

তিনি বলেন, হকারদের স্থায়ী কোনও জায়গা নেই। কোনও জায়গা কাউকে দেয়া বা বিক্রি করা হয় না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে বরাদ্দ জায়গা বাদে ফাঁকা জায়গাগুলোতে কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনায় কিছু দরিদ্র ভাসমান ব্যবসায়ীকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারকে ভাসমানদের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, সেটি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। তাহলে হকারদের সব ধরনের সমস্যাগুলো দূর হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015 teamreportbd
কারিগরি সহযোগিতায়: Freelancer Zone
freelancerzone