করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। এমন ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন উপায়ে ঢাকার ছাড়ছেন হাজারো মানুষ।
দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় হেঁটে, পিকআপে, মোটরসাইকেল বা বিভিন্ন ছোট বাহনে করে যেতে হচ্ছে তাদের। আর এ জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
সিলেটগামী যাত্রী মনির হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ঢাকার একটি ছোট দোকানে কাজ করেন। লকডাউনের কথা শুনে তিনি আগেই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। কারণ ঐ সময় বেচা-বিক্রি হবে না। দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আবার ঢাকায় থেকে খরচও চালাতে পারবেন না। কিন্তু যেখানে ৫০০ টাকায় বাসে যেতেন, সেখানে মাইক্রোবাসে ভাড়া নিচ্ছে ৯০০ টাকা। এ অবস্থায় তিনি অতিরিক্ত ভাড়া গুনেই ঢাকা ছাড়ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড ও যাত্রাবাড়ী, উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী এলাকায় ভাড়ায় প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসগুলো বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে। সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রাম ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ যাত্রী পরিবহন করছে ঐ সব গাড়ি। যেখানে আন্তঃজেলা বাসগুলোর ভাড়া ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সেখানে এসব গাড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় জনপ্রতি ভাড়া আদায় করছে।
গতকাল দুপুরের পর রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে গাড়িতে তল্লাশি চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আবদুল্লাহপুর এলাকায় তল্লাশির সময় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করায় চারটি মাইক্রোবাস ও দুইটি বাস আটক করা হয়। কিছু সময় গাড়িগুলোকে আটকে রেখে ছেড়ে দেন কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট।
ঝিঙের যত উপকারিতা ≣ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জাপা নেতার আর্কেড উদ্বোধন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের ≣ [১] রাজধানীতে মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৫
তবে এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা-পূর্ব জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কাজী হানিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ট্রাফিকের কোনো কর্মকর্তার অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে না। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়ার বিষয়েও অভিযান অব্যাহত থাকবে। বেশ কয়েক জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে আব্দুল্লাহপুর ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়েছে। করোনায় গণপরিবহন তুলনামূলক কম থাকায় যাত্রীরাও বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দেখা যায়, মানুষ নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাস ও লেগুনাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ধাক্কাধাক্কি করে উঠছেন। দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। কিন্তু সেটি মানছে না সাধারণ মানুষ।