অসাম্প্রদায়িক পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বছরের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ ব্যবসা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউনে কপাল পুড়েছে ব্যবসায়ীদের। ২০২০ সালেও ছিলো লকডাউন, তারই পুনরাবৃত্তি এই বছর।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের জামদানি হাউজের স্বত্তাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকার তার বেতনভুক্ত কর্মচারীদের বেতন ঠিকই দিবে। কিন্তু আমাদের কর্মীদের বেতন কীভাবে দেবো। পরিস্থিতি এভাবে চললে আমরা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবো না। এই ব্যাপারে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের দেশী দশের ম্যানেজার মো.শরিফুজ্জামান রানা বলেন, সার্বিক এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলবো বর্তমান অবস্থা একদম ভালো না, কোনও বেচাকেনা নেই। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যে বেচাকেনা হওয়ার কথা, সেটি হচ্ছে না।
আড়ংয়ের চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আশরাফুল আলম বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এ বছর আড়ং সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শপিংমলে কেউ আসলে সংক্রমিত না হয় সে ব্যবস্থাও রয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউন এভাবে চললে আড়ংয়ের সব মালামাল স্টকে জমা হবে। এতে আড়ংয়ের সঙ্গে ৬৫ হাজার কর্মীরা জড়িত। প্রভাব পড়বে তাদের জীবনে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের গোল্ড কিংয়ের কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকে দোকান খুলে বসে রয়েছি। কোনও বেচাকেনা হয়নি। আশংকা করছি, এভাবে লকডাউন চলতে থাকলে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। সম্পাদনা: তাপসী রাবেয়া