শুক্রবার সকাল ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতারণ করার পর মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সরাসরি জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।
বিকেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। এর পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উভয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘরের উদ্বোধন করবেন।
রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এ সফরে যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন স্বাধীনতা সড়ক ও বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর।
স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ঘোষণা করবেন ১৮ দেশে যৌথ কর্মসূচি ও উন্মোচন করবেন পৃথক দুটি স্মারক ডাক টিকিট।
শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাবেন। সেখান থেকে যাবেন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিস্থলে। এর পর তিনি ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করবেন।
টুঙ্গিপাড়া থেকে ফিরে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন উভয় প্রধানমন্ত্রী।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, পরিবেশগত সুরক্ষা ও উভয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতায় হবে সমঝোতা সই। সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ আরও দুটি সই হতে পারে।
বৈঠক শেষে ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস ও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে সংস্কার কাজসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যাবেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তার ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।