সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ১২ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশকে উপহার পাঠাচ্ছে ভারত, যা শুক্রবার পৌঁছাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে ভারত সরকার আরো ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর এবং মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টার ফ্লাইটে এবারের উপহারের ১২ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তারা জানতে পেরেছেন।
রোবেদ আমিন বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছি। ফেব্রুয়ারির চালানের বাকি ৩০ লাখ এবং মার্চের চালানের ৫০ লাখ টিকার বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ৮০ লাখ ডোজ টিকার ব্যাপারে এখনও ক্লিয়ার না। আসার কথা ছিল, তা এখনও পাইনি।
এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় চালান আগামী ২৬ মার্চের পর আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর রয়েছে। সফর শেষে তৃতীয় চালান আসবে বলেই আমরা জানি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন ৪র্থ চালান থেকে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সেরামের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। এর ফলে সংকট সৃষ্টি হবে না বলে মনে করেন নাজমুল।
বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ৯০ লাখ ভ্যাকসিনের মধ্যে ৫০ লাখ ইতোমধ্যে ব্যবহার হয়ে গেছে, এখনো ৪০ লাখ ভ্যাকসিন রয়ে গেছে। এছাড়া গ্যাভি কোভেক্স ফ্যাসিলিটি থেকে করোনাভাইরাসের ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজের এক লাখ নয় হাজার ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। এটা যে কোনো সময় দিয়ে দেবে। বলা হয়েছে ‘বাই মে’।
তিনি জানান, গ্যাভি থেকে আসা ভ্যাকসিন গুলোরও মেয়াদ তিন মাস। সেরাম জানিয়ে ছিলো, ছয় মাস, নয় মাস এবং ১২ মাস মেয়াদে ভ্যাকসিন দিবে তারা। কিন্তু এই মেয়াদ এখনো তারা বাড়ায়নি। তাই সব মিলিয়ে একটু ধীর গতিতে যেতে হচ্ছে। তা না হলে টিকার মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে অপচয় হবে