। কারণ করোনা পরিস্থিতির অবনতি যদি ঘটে, তা মানুষের অসচেতনতার ফলেই ঘটবে। রাস্তাঘাট, বিপনীবিতান, বাজার, শপিংমল, গণপরিবহন সর্বত্র একই চিত্র। অধিকাংশ মানুষ অবলিলায় বের হচ্ছেন, অফিস আদালত করছেন, বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন মাস্ক ছাড়া। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও তা রাখছেন থুতনির নিচে। মাস্কহীন এমন অস্যংখ্য মানুষকে দেখলে যে কারো মনে হবে রাজধানী থেকে বিদায় নিয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ জন। আরও গত একদিনে ১৩ জনের মৃত্যু মিলিয়ে মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ হাজার ৫১৫ জনে।
একদিকে সভা সমাবেশ, নির্বাচন, বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পর্যটকের ভিড়ের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা(আইইডিসিআর) ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রথমে বলা হয়েছিলো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া কিন্তু সেটা হয়নি। বিয়ে অনুষ্ঠান বেড়েছে, সভা সমাবেশ হচ্ছে। এখানে সাধারণকে বুঝতে হবে আপনার নিজের জীবন রক্ষার জন্য আপনাকে মাস্ক পড়তে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এখানে সরকার নিদের্শনা দিয়ে আর জরিমানা কতবার করবে।
আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ও মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আমরা অনুমান হচ্ছে গরম বাড়ছে, এখন ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশন না হলে টেকা মুশকিল। কিন্তু একটা বদ্ধ জায়গায় যদি মাস্ক ছাড়া অনেক মানুষ থাকে তাহলে লক্ষণ-উপসর্গবিহীন একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে বাতাসের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হবেন।