শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের প্রথম Smart Village প্রবেশ গেইট এর শুভ উদ্বোধন জাতীয় বীমা দিবসে লক্ষ্মীপুর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় এক লাখ, মৃত্যু পৌনে চারশো নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর ইউসিসিএল’র সভাপতি ও বিআরডিবি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

উত্তরাখণ্ডের হিমবাহ ধস, নিহত ১৪, নিখোঁজ ১৭০, চলছে উদ্ধারকাজ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪২৩ Time View

ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামেলিতে হিমবাহ ফেটে তীব্র জলোচ্ছাসে ভেসে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ ৫টি ঝুলন্ত ব্রিজ। দ্য হিন্দু/এনডিটিভি

বিপর্যয়ের ২৪ঘণ্টা পেরিয়েছে। এখনো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দেশটির রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। কাজ করছে নৌ বাহিনীর ৭টি ও সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিট।

[৪] নিখোঁজ ১৭০জনের মধ্যে ১৪৮হন এনটিপিসি প্রকল্পে ও ২২ জন ঋষিগঙ্গ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। ৩০জন আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি টানেলে আটকে রয়েছে। প্রায় ৩০০জন উদ্ধারকর্মী তাদের উদ্ধার করতে সুড়ঙ্গটিতে অভিযান চালাচ্ছেন। এর আগে ২২ জনকে নির্মাণাধীন একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়। তপোবন প্রকল্পে উদ্ধারকার্য চালাতে এসডিআরএফ নদীর পানি উচ্চতা হ্রাসের অপেক্ষা করছে।

 

ভারতীয় বিমানবাহিনী জানায়, তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে সংলগ্ন ২টি পুলও। ঘটনাস্থলের কমপক্ষে চারটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রায় ১৩টি বেশি গ্রামকে সংযুক্ত করা ব্রিজ ভেসে যাওয়ায় গ্রামগুলোর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হেলিকাপ্টারে করে গ্রামগুলোতে ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এর আগে ২০১৩ সালে উত্তরাখন্ডে বন্যায় প্রায় ৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তখনই এই ঋষি গঙ্গা প্রকল্পসহ, বাঁধ নির্মাণ, নদীগর্ভ দখল করে অপরিকল্পিত নগরায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পর্যালোচনার দাবী উঠেছিলো।

রোববারের বিপর্যয়ে বরফগলা পানি, কাদা, পাথর ও নুড়ির ¯্রােতের পেছনে নদীর উপরে ইচ্ছেমতো বাঁধ নির্মাণকে দায়ী করছেন পরিবেশবিদ ও ভূগোলবিদেরা। ভূত্ত¡বিদরা বলছেন, পাহাড়ে ভারী বাঁধ এবং কংক্রিটের নির্মাণ ভূস্তরীয় ভারসাম্যকে নষ্ট করছে।

] বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী লিখেছেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকাকালে উত্তরাখণ্ডের হিমালয়ের বুকে গঙ্গা এবং তার প্রধান শাখানদীগুলোর উপরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি না করার পরামর্শ দিয়েছিলাম, কারণ এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি এলাকা।’ তিনি আরো বলেন, ‘হিমবাহ ধস শুধুমাত্র উদ্বেগজনক নয়, বরং একে চরম হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা উচিত।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015 teamreportbd
কারিগরি সহযোগিতায়: Freelancer Zone
freelancerzone