রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে সারা দেশের কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)তে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে করোনার টিকা নিয়েছেন, বিচারপতি জিনাত আরা হক, ইনায়েতুর রহিম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রুহুল কুদ্দুস ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ সামাদ।
ওদিকে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল পৌনে ১০টায় টিকাপ্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে টিকা নিতে গতকাল বিকাল আড়াইটা পর্যন্ত ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকার প্রথম মাসে ৩৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। সে অনুযায়ী প্রতিদিন এক লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
চট্টগ্রাামে প্রথম টিকা নিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। রোববার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি টিকা নেন। নওফেল ছাড়াও আরো কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিয়েছেন। জানা যায়, চমেক হাসপাতালের সপ্তম তলায় চারটি বুথ করা হয়েছে করোনার টিকা কার্যক্রমের জন্য। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি নারী বুথ। এই হাসপাতালের মোট দেড়শটি আবেদন করা হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে টিকাদান কর্মসূচি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ঢাকাসহ সারা দেশের এক হাজার ৫টি হাসপাতালে ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা প্রদান কার্যক্রম একযোগে শুরু হচ্ছে। ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি দল ভ্যাকসিন দিতে কাজ করবে। ঢাকার বাইরে ৯৯৫টি হাসপাতালে কাজ করবে ২ হাজার ১৯৬টি দল।