রোববার (৩১ জানুয়ারি) প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মিতু হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর আলোচিত চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট।
এক আসামীর জামিন শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আরও বলেন, মামলার আসামী ওয়াসিমের জামিন শুনানিকালে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা হাজির হয়ে বলেন, তিনি কিছুদিন আগে তদন্তভার পেয়েছেন। এরপর আদালত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন চান আর জামিন আবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছিলেন।
আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে জানান, তার মক্কেল (ওয়াসিম) সাড়ে চার বছর ধরে জেলে আছে। আসামী মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার আবদুন নবীর ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবী করেছিল তখন।