ব্রিটিশ সেনাদের লক্ষ্য প্রতিদিন ২ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। একদিনে রেকর্ড ১৩’শ ২৫ জন কোভিডে মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন সংক্রমণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডেইলি মেইল
ব্রিটেনের চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি দেশটির নাগরিকদের জন্যে সতর্কমূলক প্রচারণায় ঘর থেকে পারতপক্ষে বের না হবার জন্যে বলেছেন। একদিনে ৬৮ হাজার ৩৫ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। ক্রিস হুইটি বলেন ‘ যদি আপনি বাইরে বের হন তাহলে আপনার মাধ্যমে কোভিড ছড়াতে পারে এবং মানুষ মারা যেতে পারে।
জরিপে দেখা যাচ্ছে প্রতি ১৫ জন ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে একজন ভাইরাসে আক্রান্ত। লন্ডনেই ৮১ শতাংশ কোভিডের নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্ত।
সিনিয়র কর্মকর্তারা বলছেন লকডাউন তেমন কাজ হচ্ছে না। ঘর থেকে বের না হওয়াই উত্তম। কোভিড ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতাল অন্য কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না এমনকি ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারও।
এ্যাম্বুলেন্স যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে এজন্যে ২৪ ঘন্টার জন্যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লকডাউন যাতে কেউ না ভাঙ্গে এজন্য কঠোন নজরদারি ও তল্লাশী চলছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের প্রধান স্যার সাইমন স্টিভেন্স কোভিড মোকাবেলায় উদ্যোগকে ‘শক্তিশালী শুরু’ বললেও তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়ই স্বীকার করেছেন, প্রতি সপ্তাহে কয়েক মিলিয়ন লোককে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে ‘অসুবিধা’ রয়েছে এবং ‘রাস্তায় ধাক্কা’ খেতে হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১৩ মিলিয়ন লোককে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণের পর সপ্তাহে ৩ মিলিয়ন পর্যন্ত তা দেওয়া হতে পারে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১.৫ মিলিয়ন কমপক্ষে প্রথম ডোজ পেয়েছে। এর অর্থ ৩৯ দিনের মধ্যে ১১.৫ মিলিয়ন দিতে হলে দিনে প্রায় ৩ লাখ ডোজ টিক দিতে হবে।