নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোয় গোটা বাংলাদেশ আলোকিত। তিনি পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, চার লেন-ছয় লেনের মহাসড়ক, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আলোকবর্তিকা।
শনিবার লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীর হাট বাস টার্মিনালে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথের ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর এক সুধী সমাবেশে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় সমগ্র পৃথিবী যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে তখন বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক, ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়ার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজকে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আপনারা জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আছেন বলেই সমগ্র বাংলাদেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতাই ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ড্রেজিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এ নৌ-রুটে লঞ্চসহ সকল নৌ যানবাহন ও যাত্রীদের সহজ যাতায়াতে লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের লাখো মানুষ এর সুফল পাবে। এতে করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি এ কে এম শাহাজাহান কামাল, নৌ মন্ত্রাণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিক আহমদ সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন প্রমুখ।
পরে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ড্রেজিং কাজের পরিদর্শন করেন। লক্ষ্মীপুর-ঢাকা ও লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ, ফেরিসহ নৌ-যোগাযোগ দ্রুত ও নিরাপদ করতে ২৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজ শুরু হয়েছে। খনন কাজটি সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা এবং লক্ষ্মীপুর-ভোলা উভয় নৌপথের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার কমবে। মাত্র ৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ যেতে পারবে। বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী এবং মেঘনা নদীর লোয়ার অংশের দিয়ে ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত নৌপথের দূরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে বর্তমানে কোনো নাব্য সংকট নেই। মেঘনার নদী লোয়ার অংশে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট সংলগ্ন এলাকায় কিছু স্থানে নাব্যতা সংকট রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মেঘনা (লোয়ার) নদীর উক্ত চ্যানেলে ২৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করবে। এ বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ খনন কাজ শেষ হবে। দু’বছরে ৩১ লাখ ঘনমিটার খনন কাজে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে।