দুই দেশের যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গুলি বোমায় বিধ্বস্ত নাগর্নো-কারাবাখের মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে কারাবাখ কর্তৃপক্ষ।
যুদ্ধ বন্ধের এখনো কোনো ইঙ্গিত নেই। এগারো দিনে প্রবেশ করল নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধ। তারই মধ্যে কারাবাখের স্বাধীন সরকার জানিয়েছে, তাদের প্রধান শহর স্টেপানকিয়ার্টের অর্ধেকরও বেশি মানুষ এখন গৃহহীন।
যুদ্ধ বন্ধের জন্য ফের সওয়াল করেছে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র। ন্যাটোর তরফেও দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশই লড়াই থামানোর ইঙ্গিত দেয়নি। খবর ডয়চে ভেলের।
কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে কারাবাখের মূল শহর। সেখানকার স্থানীয় সরকারের বক্তব্য, হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। শহর জুড়ে পড়ে রয়েছে বোমা। বহু বোমা না ফাটা অবস্থায় রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে। যখন তখন বিস্ফোরণের আশঙ্কা। বহু বাড়ি বোমার আঘাতে ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আর্মেনিয়ার হিসেব অনুযায়ী নাগর্নো-কারাবাখে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বহু সাধারণ মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারই মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত। আর্মেনিয়া এখনও আজারবাইজানের বিভিন্ন শহরে গোলাবর্ষণ করছে। আজারবাইজানও শেলিং চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরান আগেই জানিয়েছিল, যেভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে যেকোনো দিন তা আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। দুই দেশের যুদ্ধে অন্য দেশের যোদ্ধারাও যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি ইরানের।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই তার ফোনে কথা হয়েছে। বস্তুত, এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল দুইটি দেশ। আর্মেনিয়ার সঙ্গে এখনও রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, প্রয়োজনে রাশিয়া তাদের রক্ষা করবে।
পুতিন জানিয়েছেন, দুই দেশের কাছেই যুদ্ধ বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করতেও রাজি।