ক্রিকেটে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে ২২ বছর নির্বাসিত থাকতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নেওয়ার আবারো নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা জেগেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালনা সংস্থা ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকায় (সিএসএ) ঝড়ো হাওয়া গত ডিসেম্বর থেকে। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে নিকট অতীতে শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্তাকে পদ ছাড়তে হয়েছে। তাতেও রেহাই পাননি গ্রায়েম স্মিথরা। স্মিথদের পরিচালিত সিএএ ভেঙে দেওযার ঘোষণা দয়ে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টন কনফেডারেশন অ্যান্ড অলিম্পিক কমিটি (এসএএসসিওসি)।
এতেই জেগেছে ফের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্রিকেটেই ঐ দেশের সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। স্মিথরা তাই ভবিষ্যৎ পরিণতি কতটা করুণ হতে পারে তা ভালো করেই জানেন। আর তাই খোদ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সিএসএ।
সংকট নিরসনে আইনি পরামর্শ নেওয়া প্রোটিয়া বোর্ড এসএএসসিওস’র সাথে বসে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে দুঃসময় দূর করতে মরিয়া। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই ভেঙে দেওয়া হযেছে বোর্ড। তবে ক্রিকেটীয় রীতিতে এমন প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। সেই নীতির বলেই সিএসএ আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। সেই অনুযায়ী নেওয়া হতে পারে আইনি ব্যবস্থাও।
এক বিবিৃতিতে সিএসএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সরকারের সাথে আলোচনার পর সমাধান না এলে আইসিসির রোষানলে পড়তে হতে পারে সিএসএকে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।