বুধাবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
জননিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সার্বক্ষণিক শারীরিক ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আলোকে বাস্তবতার নিরিখে প্রতি উপজেলায় ইউএনওদের সার্বক্ষণিক শারীরিক ও বাসভবনের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক অঙ্গীভূত সশস্ত্র অনসার এবং পর্যায়ক্রমে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হল।
এর আগে সারাদেশে ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রয়োজনে পৃথক একটি নিরাপত্তা ব্যাটালিয়ন গঠন করা যায় কি না, সেই বিষয়টিও ভেবে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, সারাদেশের মাঠ প্রশাসনের ইউএনওদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ গানম্যান ও ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগের আগপর্যন্ত অঙ্গীভূত আনসারদের দিয়ে আপাতত ইউএনওদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদিন সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ষবাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদেও জানান, শুধু ইউএনওর নিরাপত্তা নয়, সব উপজেলা কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মাঠ প্রশাসনের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ইউএনওরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হবে বলে প্রায় অভিন্ন মত দেন বৈঠকে উপস্থিত সবাই। এরপরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয় কমিটির পক্ষ থেকে। বৈঠকের পর ওইদিনই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সরকারি বাসভবনে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী। এ ঘটনায় পরবর্তীতে সারাদেশের ইউএনওগণ তাদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান সরকারের কাছে।