ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মগ্রহণ করেছেন ঘোষণাটি ছিল বানোয়াট। এটি স্বীকার করে বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত। ১৯৯৫ সালে বিএনপি হঠাৎ ঘোষণা দিল যে, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীকালে আমরা পত্রিকার পাতায় জানলাম, তিনি এর আগেও অবশ্য ৩-৪ বার জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনে জন্মদিন ঘোষণা করা আর এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করা একই কথা, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা।
তিনি বলেন, একটি কমিশন গঠন করে বেশ কিছুদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবি বিভিন্ন মহলে উঠেছে। ইতোমধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন দাবি জানিয়েছেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যারা স্ব-পরিবারে হত্যা করেছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক। একই সঙ্গে যারা বেঁচে আছেন তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার। এই যে দাবি কয়েক বছর ধরে করা হচ্ছিল সেটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে সাংবাদিক সমাজের মাধ্যমে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র দেশে-বিদেশে’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্যামল দত্ত। অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসন, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব, বাশার নূরু