শেখ হাসিনা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে ঘাতকের বুলেটে জীবন দিতে হয়েছে। সেই স্বপ্ন পূরণে সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবো। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না। আর আমরা কি সহ্য করে আছি, শুধু একটা চিন্তা করেই, এই দেশটা বাবা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করে গেছেন। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। কাজেই যতটুকু সাধ্য, সেইটুকু করে যাবো, যেন বাবার আত্মাটা শান্তি পায় ও তার রক্ত যেন বৃথা না যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তারা ঘৃণ্য। তাদের বিচার করেছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই শক্তি দিয়েছেন। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে দিয়ে তাদেরকে বিচার করতে পেরেছি। এতে আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করি। আওয়ামী লীগকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রেখে দেশসেবার সুযোগ করে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণকে। যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন এবং আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনকে, যারা সব সময় পাশে থেকে শক্তি জুগিয়েছে।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা স্মরণ করার পাশাপাশি নিজের ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর কথাও উল্লেক করেন শেখ হাসিনা।

শুক্রবার সমাজসেবা অধিদপ্তরে আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৫০ হাজার বার কোরআন খতম এবং জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আর সমাজসেবা অধিদপ্তরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ উদ্দিন খান খসরু এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জয়নুল বারী প্রমুখ।