বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের প্রথম Smart Village প্রবেশ গেইট এর শুভ উদ্বোধন জাতীয় বীমা দিবসে লক্ষ্মীপুর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত প্রায় এক লাখ, মৃত্যু পৌনে চারশো নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান পাখির স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর ইউসিসিএল’র সভাপতি ও বিআরডিবি’র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

গবেষণা না করেও ভাতা পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৫২ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-এর শিক্ষকরা প্রতিমাসে বেতনের সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে গবেষণা ভাতা পান। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষকই গবেষণা না করে এই ভাতা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করেন। গবেষণার জন্য এই ভাতার পরিমাণ খুব সামান্য হলেও মূলত নবীন শিক্ষকদের গবেষণায় আগ্রহী করতে এটি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে সবার মধ্যে না ভাগ করে শুধু যেসব শিক্ষক গবেষণা করতে আগ্রহী যদি তাদের এই ভাতা দেওয়া হতো, তাহলে তা গবেষণার কাজে লাগতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলা ট্রিবিউন

শিক্ষকরা বলছেন, প্রতিমাসে বেতনের সঙ্গে পাঁচ হাজার করে যে গবেষণা ভাতা দেওয়া হয়, তা দিয়ে কোনোভাবেই গবেষণা করা যায় না। এই টাকা দিয়ে বাজার সদাই করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। ভাতার পুরো টাকা সবার মধ্যে ভাগ না করে শুধু যারা গবেষণা করতে চান, তাদের কয়েকজনকে দিলে গবেষণায় কাজে লাগানো যেতো।

জানা যায়, ১৫ বছর আগ থেকে এই ভাতা পেয়ে আসছেন শিক্ষকরা। যার পরিমাণ প্রথমদিকে ছিল পাঁচশ টাকা। ক্রমান্বয়ে এটি এখন পাঁচ হাজার টাকা হয়েছে।

 

গবেষণা না হওয়ার পেছনে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে আমরা শিক্ষকেরা প্রত্যেকে মূল বেতনের বাইরে পাঁচ হাজার টাকা করে গবেষণা ভাতা পাই। কিন্তু তা দৈনন্দিন ব্যয়ের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে যায়। মাছ-মাংস হয়তো বা কেনা হয়, কিন্তু গবেষণার কোনও কাজে লাগে না। বরং গবেষণার জন্য বরাদ্দ মোট অর্থ ১৩টি অনুষদের জন্য সমানভাগে ভাগ করে দিলে অর্থের পরিমাণটা অনেক বেশি হতো।

তিনি একটি হিসেবে তুলে ধরে বলেন, ‘ধরা যাক এক বছরে গবেষণা বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা। তাহলে প্রতি অনুষদ গড়ে পেতো কমপক্ষে তিন কোটি টাকা। প্রত্যেক অনুষদে শিক্ষকদের কাছ থেকে গবেষণার প্রস্তাব বা বই প্রকাশের প্রস্তাব আহ্বান করা যেত। যদি যাঁচাই-বাছাই করে ১০টি গবেষণা বা বই প্রকাশের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়, তাহলেও প্রত্যেক অনুষদের অন্তত ৩০ জন শিক্ষককে অ্যাকাডেমিক গবেষণা অথবা বই প্রকাশনায় যুক্ত করা যেত। মান যাচাই করে নিজেই এগুলো প্রকাশ করতে পারতো বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিকভাবে গবেষণা অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতো, অ্যাকাডেমিক পরিবেশটাও ফিরে আসতো।’

গবেষণার জন্য এই অপর্যাপ্ত অর্থ সব শিক্ষকের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান। এটাকে সাফল্য হিসেবে দেখিয়ে এবং এভাবে শিক্ষকদের খুশি রাখতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে ভোট অনেকাংশে নিশ্চিত করা যায় বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘যেসব শিক্ষক গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত বা আগ্রহী না, তারাও এই গবেষণার ভাতা পাচ্ছেন।’

শিক্ষকরা বেতনের সঙ্গে গবেষণা ভাতা পান বলে জানান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমও। তিনি বলেন, ‘গবেষণা ভাতা হিসেবে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে বেতনের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘সব শিক্ষক গবেষণার জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার করে পান। এই সামান্য টাকা দিয়ে গবেষণা হয় না। যারা গবেষণা করেন না, তারাও এই টাকা পান।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এই ভাতা প্রায় পনের বছর আগে চালু করেছিল কর্তৃপক্ষ, যা এখনও চালু আছে৷ গবেষণার জন্য শিক্ষককে প্রস্তুত রাখতে মূলত ভাতাটি দেওয়া হয়। এটা দিয়ে গবেষণা হবে তা আশা করাও কঠিন। এই টাকা দিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় উপকরণাদির ক্ষেত্রে কিছু সহায়ক হতে পারে। এটার জন্য কিন্তু আমাকে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে। তখন আমাকে সংসদ সদস্যরা পরামর্শ দিয়েছেন, গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব এবং প্রকল্পের ভিত্তিতে অনুদান দিতে। আর গবেষণা ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর তো নেগেটিভ কথা।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015 teamreportbd
কারিগরি সহযোগিতায়: Freelancer Zone
freelancerzone