বের উইং কমান্ডার লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ সাতক্ষিরায় গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষিরার সীমান্তবর্তী নদীর পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ। নৌকায় উঠার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোর রাত থেকেই তাকে ফলো করছিলো র্যাবের গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে একটি পিস্তল। তিন রাউন্ড গুলি ছিলো। একটা ম্যাগাজিন ছিলো।
আশিক বিল্লাহ বলেন, সে বোরখা পরে যাতায়াত করেছে। যাতে তাকে আইডেন্টিফাই করা না যায়। তাকে নৌকায় উঠার আগেই গ্রেপ্তার করা হয় মূলত পারে। তার কাছ থেকে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। ঢাকায় মূলত তাকে নিচ্ছি তার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালানো হবে।
কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাকে অনুসরণ করেছি। আমরা সাতক্ষিরায় অবস্থান করিনি। তিনি ঘণ ঘণ অবস্থান পরিবর্তন করছিলো। তার চেহারায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। গোফ ফেলে দিয়েছিলো। চুল সাদা ছিলো সে কালার করিয়েছে। তার প্ল্যান ছিলো মাথা ন্যাড়া করার। আমরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী কিছু ফলোআপ আছে।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা আরেকটি ব্রিফিং করবো। তার কাছ থেকে তথ্য যাচাইয়ের পর ঢাকায় আরেকটি ব্রিফিং করা হবে। তাকে একাই এখানে গ্রেপ্তার হয়েছে। আগে ৯-১০ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে যে মাঝি সাহায্য করেছে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারিনি। সে অনেক ভালো সাঁতার জানতো। তাই তিনি নদি পেরিয়ে পলিয়ে গিয়েছে। তবে শাহেদ মোটা মানুষ তাই দৌড়াতে পারেনি।