২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করে। বাংলানিউজ
১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর কথিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়।একুশে টিভি
গভীর রাতে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদন ঘিরে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য। খুব সকালে তাকে গ্রেফতার করে সুধাসদন থেকে গাড়িতে তোলা হয়। ডেইলি বাংলাদেশ
গ্রেফতার হওয়ার আগে শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি বলেন, “আমাকে সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় জানি না। আমি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই সারাজীবন সংগ্রাম করেছি। জীবনে কোনও অন্যায় করিনি। তারপরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও আপনারা দেশবাসীর ওপর আমার ভরসা। বাংলাট্রিবিউন
আমার প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন কখনও মনোবল হারাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে, আমৃত্যু থাকব।
গ্রেফতারের পর বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা দেওয়া হয় এবং দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। পরে জরুরি অবস্থার মধ্যেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। এ সময় তিনি কারাগারে অসুস্থও হয়ে পড়েন। যুগান্তর
আন্দোলনের মুখে এক পর্যায়ে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন ৮ সপ্তাহের জামিনে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়েই পর দিন উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান শেখ হাসিনা। ২০০৬ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।