দুর্ণীতি ও দুঃশাসন, জন্ম নিবন্ধন, কাবিখা ও ওয়ারিশ সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার প্রায় বেশিরভাগ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ।
মার্টিন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তারেকুর রহমান রকির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী আরাফাত, রাসেল, বাসার, দেলোয়ার প্রমুখ
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। নাপিতকে জন্মসনদের কাজে ব্যবহার করে ৩২ হাজার টাকাও নিয়েছেন তিনি।
চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী ও আরেকজন লাঠি নিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধর করছেন। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে লাথি মারেন তিনি। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরীকেও একইভাবে মারধর করেন চেয়ারম্যান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published : 13 Feb 2017, 10:38 PM
এছাড়া সরকারি সকল প্রকল্পের টাকা লুটপাট করে নেন তিনি। ইউনিয়কে তার পারিবারিক ইউনিয়নে রূপান্তর করেছেন। হতদরিদ্রের টাকা নিজের করে নিতে সিমগুলো তার কাছে রেখে ৬০টি ফোনে সচল রাখেন। এছাড়া ৩ বছর ধরে ইউপি সদস্যের সম্মানীও দিচ্ছেন না। তিন বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ না করে তার পকেটে ঢুকিয়েছেন।
চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল এর একাংশ।
এ ব্যাপারে গণমাধ্যম সংবাদ প্রচারের পরেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তবে তিনি বলেন, প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান। এতোদিন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তার করাতে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় নাই।
পলাতক চেয়ারম্যান তালাবদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদ।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কে ঝাড়ুহাতে মিছিল করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষ দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ আলির অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ আলি বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন হুমকি ধানকি দেওয়াতে ইউনিয়ন পরিষদে আমি যেতে পারছি না। তবে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ যথারীতি চলছে। কোন দুর্নীতি বা অনিয়মের সাথে আমি জড়িত না।