দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৬২তম দিনে শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। যা শুরু থেকে এখনও উর্ধ্বমুখী।
বিশেজ্ঞরা বলছে : শুরুর দিকে দুই-একজন মারা গেলে রাস্তা-ঘাট খালি থাকত। এখন ত্রিশ-চল্লিশ জন মারা গেলেও মানুষের ভয় নেই। কারণ তারা করোনার সঙ্গে বসবাস করা শিখে গেছে। অধিকাংশরাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল ও জীবন যাপন করছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফর্মুলা অনুযায়ী কোন দেশে যদি পর পর তিন সপ্তাহ নতুন রোগী শনাক্তের হার নিম্নমুখী থাকে তাহলে ধরে নেয়া হয় ওই দেশটিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সংক্রমণের হার পাঁচ মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী।
আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, করোনা শনাক্তের শতকরা হার ৫ ভাগের নীচে না নামলে বলা যাবে না, করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২০ কিংবা মাঝে মাঝে ২৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, ঢাকাতে যারা শনাক্ত হচ্ছে তাদের সঠিকভাবে আইসোলেশন করা হচ্ছে কিনা, যাদের সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা তারা নিজেরাই হাসপাতালে যাচ্ছে এসবের কি কোন ফলোআপ হচ্ছে, হচ্ছে না। এভাবে পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে?
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, করোনা কবে যাবে, কেউ তো নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারছে না। হয়তো অন্য অনেক ভাইরাসের মতো করোনাও সারাজীবনই রয়ে যাবে।
সুতরাং এর সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় তো ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ, নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ তো নেই করোনার।
অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, এখন (করোনায়) আক্রান্ত হলে যেগুলো আমরা দেই, সেগুলো তো অন্য রোগের। আমরা জানি, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।